আধুনিক পদ্ধতিতে আউশ ধানের চারা বপন ও জলসেচ পদ্ধতি। Paddy farming.
আধুনিক পদ্ধতিতে আউশ ধানের ভালো ফলন পেতে হলে আউশ ধানের চারা বপন ও জলসেচ পদ্ধতি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়। চারা বপনের পূর্বে কোন মাটি কিরকম উর্বরতা তা জানার জন্য মাটি পরীক্ষা একান্ত প্রয়োজন। মাটি পরীক্ষা করলে জানা যাবে, কোন ফসলের চাষে মাটি কোন কোন খাদ্য উপাদান কত পরিমানে দিতে পারবে এবং সার প্রয়োগ করলেই বা কতটা দিতে পারবে। এর আর একটি সুবিধা হলো, মাটি পরীক্ষার সাহায্য নিয়ে মাটির অম্লত্ব, ক্ষার এবং অন্যান্য অবাঞ্ছিত অবস্থার ও সংশোধন করে নেওয়া যায়। এবার জেনে নেওয়া যাকচারা কিভাবে বপন করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলি :
➤ চারা বপনের নিয়ম :- ২০-২৫ দিনের চারা (৪-৫ টি পাতাযুক্ত ) বপনের পক্ষে উপযুক্ত। ৮ ইঞ্চি (২০ সে.মি) অন্তর সারি করে প্রতি সারিতে ৪ ইঞ্চি (১০ সে. মি.) দূরে দূরে বপন করতে হবে। প্রতি গর্তে দু'তিনটে করে সতেজ ও পুষ্ট চারা রােয়া যেতে পারে। চারা ২ ইঞ্চির (৫ সেমি.) বেশী গভীরে রােপন করা উচিত নয়।
বােনা আউশের বীজ বপনের পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলােঃ
(ক) হাতে ছিটিয়ে বােনা : বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বােনা আউশের বীজ হাতে ছিটিয়ে বােনা হয়। অতি সহজ পদ্ধতি। চাষযােগ্য তৈরী জমিতে হাত দিয়ে বীজ বপন করে মই দিয়ে সেগুলিতে মাটিত চাপা দিতে হয়।
(খ) বীজ বােনা যন্ত্রের সাহায্যে সারিতে বােনা :- বীজ বপন করার জন্য যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। যন্ত্র দিয়ে ৮ ইঞ্চি (২০ সে.মি.) দূরে দূরে সারিতে বীজ ৪ সে. মি. গভীরে রােপন করা যায়। যন্ত্রের সাহায্যে বীজ বপন করা পদ্ধতি খুবই ভালাে। সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করলে চাকাবিদা চালিয়ে সহজে ও অল্প খরচে আগাছা প্রতিরােধ করা যায়।
(গ) খুপি দিয়ে বীজ বপন করা :- লাঙলের পিছনের খাতে বা খুরপি দিয়ে তৈরী গর্তে বীজ বপন করে মই দিয়ে বীজগুলির উপর মাটি চাপা দিতে হয়। সাধারণত ৮ ইঞ্চি (২০ সে. মি.) দূরে সারিবদ্ধভাবে, প্রতি সারিতে ৪ ইঞ্চি (১০ সে.মি.) অন্তর অন্তর বীজ বপন করতে হয়। হাতে ছিটিয়ে বােনা ধানের তুলনায় এই পদ্ধতিটা কিছুটা উন্নত ধরনের বলা যেতে পারে এই কারণে যে, এই পদ্ধতিতে বীজ বপন করলে বীজ কম লাগে অথচ ফসল বেশি হয়।
ধান চাষের গুরুত্বপূর্ণ লিংক গুলি ==
জলসেচ পদ্ধতি :-
এই ধানের চাষ বৃষ্টি-নির্ভরশীল। তবে যেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম, সেখানে সেচের সুযােগ থাকলে রােপণের পর থেকে ৪৫-৫০ দিন পর্যন্ত জমিতে আধ ইঞ্চি থেকে এক ইঞ্চি পর্যন্ত জল রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।ধান গাছের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি কালে মাঝে মাঝে জমি শুকিয়ে পুনরায় সেচের জল দিলে জমি থেকে যেমন দূষিত গ্যাস নির্গত হয়, সেই সঙ্গে জিঙ্ক, তামা প্রভৃতি অনুখাদ্যের গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া অক্সিজেনের ঘাটতি না হওয়ায় উপকারী জীবাণুদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ও বংশবৃদ্ধি দ্রুত হয় যা পরবর্তী কালে খাদ্যোপাদানের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে। এরফলে ধান গাছের শিকড়ের যেমন দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে পাশকাঠির সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়। এছাড়া জমিতে সবসময় জল ধরে না রাখার জন্য ফুল আসার সময়েও শিকড় যথেষ্ট সজীব থাকে, যা খাদ্য উপাদান গ্রহণে সাহায্য করে।
ব্রি দ্রঃ- কোন কিছু জানার থাকলে মতামত প্রকাশ করুন।
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....