ঝিনুক ছাতু বা মাশরুম চাষ । Oyster Mushroom Cultivation:
নাম থেকেই বােঝা যায় যে এটি সমুদ্রের পাড়ে পড়ে থাকা খােলা ঝিনুকের মত দেখতে। রঙ সাদা, ঘিয়ে, গােলাপী হতে পারে। তবে ও পরিবেশের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। রঙ হালকা হতে পারে। মাপ:- ৫-৩০ সেমি ব্যাস যুক্ত।
![]() |
Image by Evita Ochel from Pixabay |
➤ ঝিনুক ছাতু বা মাশরুম চাষ পদ্ধতি।
উপকরণ :
এর চাষে (১) একটি ছােটো বা বড় জায়গা, ঘর ব বারান্দা হলেও চলবে। কম আলাে- বেশী হাওয়া হলে ভাল হয়।(২) উপর থেকে কিছু ঝােলাবার মত হকিং বা রডের ব্যবস্থা।
(৩) এক একটি বেডের জন্য ৩-৪ Kg. পরিমান ৩-৪ cm. মাপের কাটা বা কুঁচানাে খড়।
(৪) কিছু নাইলনের জালিব্যাগ অথবা পলিথিন ব্যাগ।
(৫) পােকা, মাছি, ইদুর ইত্যাদি তাড়াবার বা মারার ব্যবস্থা।
(৬) পরিচ্ছন্নতা।
চারা সংগ্রহ :
মাশরুমের চারা বা বীজকে স্পন বলে। এটি কোন বিশস্থ প্রতিষ্ঠান থেকে কিনতে হবে। কোন পরিষ্কার জায়গায়, বীজ বপনের ঠিক আগে প্যাকেটটি খুলে দু-হাতে হাল্কা চাপ দিয়ে ঝুরঝুরে করতে হবে।চাষের সময় :- Oct -থেকে Feb.
তাপমাত্রা :- ১০-২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট, অন্ধকার বা কম আলােয় ভাল বৃদ্ধি হয়।
তােলার সময় :
পরিণত ছাতুর পরিধির দিক গুটিয়ে শুকিয়ে আসার আগে বাজার জাত করতে হবে। বীজ বপন করার ৮-১০ দিনের মাথায় ঝিনুকের মতন ছােট শুষ্ক শুষ্ক ছাতু বের হয়। দু-এক দিনের মধ্যে এগুলি তুলতে হয়। এ সময় নিয়মিত জল স্প্রে করতে হয় যাতে বেড শুকিয়ে না যায়। এরপর আরও ৪-৬বার ফসল তােলা যায়।
সংরক্ষণ পদ্ধতি :
১) ছায়াযুক্ত শুকনাে জায়গায় হাওয়ায় শুকিয়ে রাখা যায়।
২) ৪৫-৬০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এ দু -তিন দিন থাকে।
৩) ২০-২৫% লবনজলে ১০-১২ দিন ডুবিয়ে রাখতে হবে। মাঝে মাঝে লবনের ঘনত্ব পরীক্ষা করতে হবে। মাত্রা কমে গেলে লবন যােগ করতে হবে। শেষে তা বােতলজাত করলে ২-৩ মাস রাখা যায়। সংরক্ষিত মাশরুম রান্নার আগে গরমজলে ডুবিয়ে লবনমুক্ত করতে হবে।
২) ৪৫-৬০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এ দু -তিন দিন থাকে।
৩) ২০-২৫% লবনজলে ১০-১২ দিন ডুবিয়ে রাখতে হবে। মাঝে মাঝে লবনের ঘনত্ব পরীক্ষা করতে হবে। মাত্রা কমে গেলে লবন যােগ করতে হবে। শেষে তা বােতলজাত করলে ২-৩ মাস রাখা যায়। সংরক্ষিত মাশরুম রান্নার আগে গরমজলে ডুবিয়ে লবনমুক্ত করতে হবে।
![]() |
Image by Anne & Saturnino Miranda from Pixabay |
বেড তৈরী পদ্ধতি :
সবজী চাষে যেমন চাযের আগে মাটি তৈরী করতে হয়, মাশরুমেও তেমনি ধানের খড়, পুকুরের পানা, কলা, গাছের শুকনাে পাতা, কাঠের গুঁড়াে, আখের ছিবড়া ইত্যাদি দিয়ে বেড তৈরী করতে হয়।সাধারণত খড় বা ঐ জাতীয় পাতাকে ৩-৪ সেমি, করে সমানভাবে কেটে তা গরম জলে ভালভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।এতে বেড কিছুটা শােধন হবে। এরপর জল ঝড়িয়ে 4% ফরম্যালিনে ডুবিয়ে আবার পরিষ্কার শুকনাে জায়গায় সেগুলি
বিছিয়ে হাওয়া লাগাতে হবে যাতে ঐ ঝাঝালাে গন্ধ উবে যায়। শােধিত খড়ে ৫ গ্রাম প্রতি কেজি-তে ছােলা বা অরহর ডালের গুঁড়াে মেশাতে পারেন। এরপর ঐ খড়গুলি জালিব্যাগ বা পলিব্যাগের মধ্যে খুব ভালাে করে চেপে চেপে সমানভাবে ঢােকাতে হবে। এরপর একমুঠো স্পন বা বীজ সমানভাবে উপড়িতলে ছড়িয়ে দিয়ে আবার একই ভাবে চেপে চেপে খড়টুকরাে দিয়ে ৫ সেমি, মতন চাপা দিতে হবে। এ রকম প্রতি ৫ সেমি ছাড়া এার করে বীজ বপন করতে হবে। ব্যাগ ভর্তি হলে উপরের স্তরে কোন বীজ দেওয়া চলবে না। উপরের স্তর খােলা রাখতে হবে যাতে জল সিঞ্চন করা যায়।এ ভাবে ব্যাগগুলি হক থেকে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এবং প্রতিদিন হাল্কা জল সিঞ্চন করতে হবে। কারণ আর্দ্রতা বজায় না রাখলে বীজ ফুটবে না। এর দু-দিনের পর ব্যাগের চারিদিকে ২ সেমি ছাড়া ছাড়া ৫ মিমি ব্যাসের ফুটো করে দিতে হবে। এই ছিদ্র সমস্ত ব্যাগেই করতে হবে।
বিছিয়ে হাওয়া লাগাতে হবে যাতে ঐ ঝাঝালাে গন্ধ উবে যায়। শােধিত খড়ে ৫ গ্রাম প্রতি কেজি-তে ছােলা বা অরহর ডালের গুঁড়াে মেশাতে পারেন। এরপর ঐ খড়গুলি জালিব্যাগ বা পলিব্যাগের মধ্যে খুব ভালাে করে চেপে চেপে সমানভাবে ঢােকাতে হবে। এরপর একমুঠো স্পন বা বীজ সমানভাবে উপড়িতলে ছড়িয়ে দিয়ে আবার একই ভাবে চেপে চেপে খড়টুকরাে দিয়ে ৫ সেমি, মতন চাপা দিতে হবে। এ রকম প্রতি ৫ সেমি ছাড়া এার করে বীজ বপন করতে হবে। ব্যাগ ভর্তি হলে উপরের স্তরে কোন বীজ দেওয়া চলবে না। উপরের স্তর খােলা রাখতে হবে যাতে জল সিঞ্চন করা যায়।এ ভাবে ব্যাগগুলি হক থেকে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এবং প্রতিদিন হাল্কা জল সিঞ্চন করতে হবে। কারণ আর্দ্রতা বজায় না রাখলে বীজ ফুটবে না। এর দু-দিনের পর ব্যাগের চারিদিকে ২ সেমি ছাড়া ছাড়া ৫ মিমি ব্যাসের ফুটো করে দিতে হবে। এই ছিদ্র সমস্ত ব্যাগেই করতে হবে।
জল ঢালার সময় নজর রাখতে হবে যেন সমস্ত খড় পায়। ঘর নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। মাছি, ইদুরের উপদ্রপ চলবে না। এভাবে চললে ৮-১০ দিনের মাথায় ব্যাগের ফুটোর মধ্যে দিয়ে ছােট ছােট সাদ মুখ বের হয়ে আসবে। পরবর্তী দু-চার দিনের মাথায় বােতাম বা বিনুকের মত ছাতু দেখা যাবে। প্রয়ােজন মাফিক আস্তে করে তুলে তা খাওয়ার জন্য বা বাজারজাত করার জন্য সংগ্রহ করতে হবে।
আমাদের এই website-এ প্রবেশ করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধ্যন্যবাদ।আমরা এই ওয়েবসাইট -এর মাধ্যমে সমস্ত শাক-সবজি, ফসল চাষ এবং চাষবাস এর সবরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পোস্ট করে থাকি। আমাদের এই পোষ্টটি ভালোলাগলে আমাদের ওয়েবসাইট (চাষবাস-বারোমাস)-টিকে Follow করতে পারেন।পারলে আপনারা LIKE ও SHARE করবেন। আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধ্যন্যবাদ।
ব্রিদ্রঃ - মাশরুম চাষে অনেক কিছু সমস্যা আছে , তার কারণ ও সমাধান সতর্কতা সহ পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করছি। জানতে নিচের Link এ Click করুন।
__________________________________________________________________________
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....