ধান চাষের ক্ষেত্রে সার প্রয়োগ পদ্ধতি। Paddy Farming :
উচ্চ ফলনশীল ধানচাষ করে লাভবান হতে হলে অবশ্যই যথাযথ সার প্রয়োগ করতে হবে। তাই জেনে নিন পশ্চিমবঙ্গে অধিক ফলনশীল জাতের আমন ধানের ক্ষেত্রে সার প্রয়োগ কিভাবে করবেন এবংধানের ফলন বৃদ্ধির জন্য কী কী করবেন।
➤ অধিক ফলনশীল জাতের ধানের ক্ষেত্রে সার প্রয়োগের বিবরণ।
ধানের জাত :- জলধি জাত রত্না, পুসা -৩৩ -৩০, পলোরন-৫৭৯, কাবেরী, সি -এন -এম -২৫, আই -আর -৩০, আই - ই -টি -১৪৪৪ এবং ২২৩৩। ১০০-১২০ দিনে পাকে এমন ধান।
কাদা করার সময় একর প্রতি উদ্ভিদ খাদ্যের পরিমান। নাইট্রোজেন -৫ কেজি, ফসফরাস -১০ কেজি, পটাসিয়াম -১০ কেজি।
চাপান সার একর প্রতি নাইট্রোজেনের পরিমান রোয়ার ১৫-২০ দিন পরে ১০ কেজি এবং রোয়ার ৩০- ৩৪ দিন পরে ৫ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।
ধানের মাঝারি জাত :- ১২০-১৩০ দিনে পাকে এমন ধান হলো জয়া, জয়ন্তী, বাণী, আই -আর -২২, আই -আর -২৬, সি -এন -এম -৩১।
কাদা করার সময় একর প্রতি উদ্ভিদ খাদ্যের পরিমান। নাইট্রোজেন -৬ কেজি, ফসফরাস -১২ কেজি, পটাসিয়াম -১২ কেজি।
চাপান সার একর প্রতি নাইট্রোজেনের পরিমান রোয়ার ১০-১৫ দিন পরে১২ কেজি এবং রোয়ার ৪০-৪৫ দিন পরে আরও ৬ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।
ধানের জাত :-
১৪০-১৪৫ দিনে পাকে যেসব ধান সেগুলি হলো, আই -আর -২০, ৫০, ৫৮। কাদা করার সময় একর প্রতি উদ্ভিদ খাদ্যের পরিমান। নাইট্রোজেন -৬ কেজি, ফসফরাস -১২ কেজি, পটাসিয়াম -১২ কেজি।
চাপান সার একর প্রতি নাইট্রোজেনের পরিমান রোয়ার ১০-১৫ দিন পরে১২ কেজি এবং রোয়ার ৪০-৪৫ দিন পরে আরও ৬ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।
মাঝারি ও নাবি জাত :- ১৫০ দিনের ও বেশি সময় লাগে যে ধান।
কাদা করার সময় একর প্রতি উদ্ভিদ খাদ্যের পরিমান। নাইট্রোজেন -৬ কেজি, ফসফরাস -১২ কেজি, পটাসিয়াম -১২ কেজি।
চাপান সার একর প্রতি নাইট্রোজেনের পরিমান রোয়ার ১০-১৫ দিন পরে ১২ কেজি এবং রোয়ার ৫৫-৬০ দিন পরে আরও ৬ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।
মাসুরী, ও -সি - ১৩৯৩, এন -সি -১২৮১ এবং সি -আর - ১০১৪ ধান । কাদা করার সময় একর প্রতি উদ্ভিদ খাদ্যের পরিমান (কেজি) :- নাইট্রোজেন -৮ কেজি, ফসফরাস -৮ কেজি, পটাসিয়াম -৮কেজি।
চাপান সার একর প্রতি নাইট্রোজেনের পরিমান। রোয়ার ৪০-৪৫ দিন পরে ৮ কেজি ।
➤ ধানের ফলন বাড়ানাের জন্য অবশ্য করণীয় :-
১) মূল জমিতে ধান রােয়ার ২৫-৩০ দিন আগে ফাকা জমিতে চাষ দিয়ে জৈবসার ও প্রয়ােজনে মাটি সংশােধক প্রয়ােগ করা।
২) উন্নত মানের, উপযুক্ত জাতের সংশোধিত বীজ সংগ্রহ করে শােধন করা।
৩) যত্ন করে বীজতলা তৈরী করা, জৈবসার প্রয়ােগ করা ও পাতলা করে বীজ বােনা ।
৪) সঠিক বয়সের চারা, সঠিক দূরত্বে, সঠিক গভীরতায় রােপণ করা, প্রতি গুছি.২-৩ টির বেশী চারা না লাগানাে।
৫) সুষম মাত্রায় জৈব, জীবাণু ও রাসায়নিক সার সঠিক সময়ে প্রয়ােগ করা।
৬) ক্ষেতে জলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা।
৭) আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা।
৮) নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পর্যালােচনার মাধ্যমে রােগ-পােকা নিয়ন্ত্রণ করা।
৯) ক্ষেতে বন্ধু পােকা-মাকড় ও রােগ-জীবাণুর সংরক্ষণ করা।
১০) শােষক পােকা আক্রমণ প্রবণ এলাকায় ৮ সারি অন্তর ১ সারি রােপণ না করা এবং আক্রান্ত ক্ষেতে ‘পাশ ঠ্যালা’ দেওয়া।
১১) ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেলে কেটে নেওয়া।
১২) ধান কাটার ১০-১৫ দিন আগে জমির জল বের করে দেওয়া।
১৩) ধান কাটার পর দ্রুত ঝাড়াই-মাড়াই করা।
১৪) ধান ঝাড়ার খামার ও গুদাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
_____________________________________________________________________
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....