আধুনিক পদ্ধতিতে হাইব্রীড জাতের ধানের চাষ। paddy Farming :
বোরো ধানের ফলনের জন্য ফসল তৈরি হওয়া পর্যন্ত পরিমিত পরিমানে জলসেচ দেওয়া খুবই প্রয়োজন। যেহেতু বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সময় চাষ হয়না, তাই সেচের জল পাওয়ার সময় সীমা অনুযাই নিচে বর্ণিত বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করার পদ্ধতি ।
(১) চৈত্রের শেষ পর্যন্ত সেচ পাওয়া গেলে রত্না, পলমন ৫৭৯, আই-আর-৩০, আই-আর-২৮, পুস-৩৩-৩০, লাঠিশাল কলমা ২২২, জে-এম-৫২-১০২।
(২) চৈত্রের মাঝামাঝি পর্যন্ত সেচের ব্যবস্থা করতে পারলে, কাবেরী, সি-আর-১২৬-৪২-১, সি-এন-এস-২৫, আই-ই-টি-২২৩৩, ২২২২, ১৪৪৪, ৮৪৯, পুসা-৩৩-৩০।
(১) চৈত্রের শেষ পর্যন্ত সেচ পাওয়া গেলে রত্না, পলমন ৫৭৯, আই-আর-৩০, আই-আর-২৮, পুস-৩৩-৩০, লাঠিশাল কলমা ২২২, জে-এম-৫২-১০২।
(২) চৈত্রের মাঝামাঝি পর্যন্ত সেচের ব্যবস্থা করতে পারলে, কাবেরী, সি-আর-১২৬-৪২-১, সি-এন-এস-২৫, আই-ই-টি-২২৩৩, ২২২২, ১৪৪৪, ৮৪৯, পুসা-৩৩-৩০।
(৩) বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত সেচ পাওয়া গেলে মাসুরী, রাণী (আই-ই-টি-২২৯৫), আই-ই-টি-২৮১৫, সি-এন-এম-৩১।
(৪) আর যদি এর পরেও সেচ পাওয়া যায় তাহলে জয়া, জয়ন্তী, আই-আর-২০, আই-ই-টি-১১৩৬, ২২৫৪, সি-এন-এস-২০, সি-এন-বি-পি-২১৭, এই সব জাতের বােরাে ধান চাষ করা যেতে পারে।
এখানে একটা অতি প্রয়ােজনীয় কথা বলে রাখি, কৃষি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী ধানের থোড়মুখে একবার এবং দুধ মুখে (মিল্ক স্টেজ) এবং একবার হর্মোন জাতীয় ওষুধ "প্লানােফিক্স” প্রয়ােগ করলে ধানে সমানভাবে ফুল আসবে এবং শীষ থেকে ধান ঝরা বন্ধ হবে।
প্রয়ােগের পদ্ধতি : প্রতি ১০-১২ লিটার জলে দুই থেকে আড়াই মিলিলিটার প্লানােফিক্স গুলে ধানে প্রয়ােগ করতে হবে।
চারা রোয়া তোলার পদ্ধতি :-
বীজ তোলার চারা জমিতে রোয়ার পূর্বে রোয়া তোলার পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অতি যত্ন সহকারে (মাটিসহ) বীজতলা থেকে এমনভাবে তুলতে হবে যাতে শিকড়ে কোনো প্রকার আঘাত না লাগে।
ধান চাষের গুরুত্বপূর্ণ লিংক
বীজ ধান রােয়ার পদ্ধতি :
কৃষি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী বারাে সারি অন্তর দুই সারি ফাক রেখে বােরাে ধানের চারা লাগাতে হবে, তাতে সুবিধে হলাে এই যে, ক্ষেতের ভিতর দেখাশােনা করা, চাপান সার প্রয়ােগ এবং বিশেষভাবে বাদামী শােষক পােকা দমনের জন্য সুষ্ঠুভাবে ওষুধ ছিটানাের কাজটা সুবিধের হয়।
➤ হাইব্রীড জাতের (হাইব্রীড ধান-৬২০১) ধানের চাষ কী ভাবে করবেন।
বীজের হার :- একর প্রতি ৬ কেজি।
বীজ রােয়ানাের সময় :-
মূলত খরিফ মরসুমে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি থেকে আষাঢ়ের মাঝামাঝি (মে-জুন) এবং রবি মরসুমে কার্তিকের মাঝামাঝি থেকে পৌষের মাঝামাঝি (নভেম্বর-ডিসেম্বর) পর্যন্ত হাইব্রীড বীজ রােয়া যায়।
বীজতলা :
১০০ বর্গমিটার জমির জন্যে আড়াই কেজি, হাইব্রীড বীজ বপন করতে হবে। এতে চারা সুষ্ঠুভাবে পুষ্ট হয় এবং ফসলও অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। বীজতলায় জমি ভাল করে কাজ করবার পর ৩ কে, জি, অঙ্কুরিত বীজ ১২০ বর্গমিটার জমিতে বপন করতে হবে। এই চারা নিয়ে আধ একর জমিতে রােয়া যায়।
চারা রােপণ :-
২৫-৩০ দিন বয়েসের চারা ২০x১৫ সে.মি. দূরত্বে একটি করে চারা রোপন করতে হবে।
আগাছা দমন :-
চারা রােপন করবার দুতিন দিনের মধ্যে ৪-৫ সেমি. জল বেঁধে আগাছা নাশক ওষুধ বুটাক্লোর বা থায়োরেন কার্ব প্রয়ােগ করলে আগাছা বিনাশ করা যায়।
➤রােগ পােকা প্রতিরােধের কোন্ ওষুধ কখন প্রয়ােগ করবেন।
১। ধানের বীজ রােয়ার আগে মাটি কাদা করবার সময় যে কোনাে একটি দানাদার ওষুধ প্রয়ােগ করতে হবে।
২। এরপর ধান রােপণের ২৫ দিন বাদে যে কোনাে দানাদার ওষুধ বা যে কোনাে তরল কীটনাশক ওষুধ প্রয়ােগ করা যেতে পারে।
৩। চারা পোঁতার ৫০ দিন পর যে কোনাে কীটনাশক ওষুধ প্রয়ােগ করতে হবে।
৪। এরপর আরও দশদিন পরে অর্থাৎ চারা পোঁতবার ৬০ দিন পর যে কোনাে একটি তরল কীটনাশক ওষুধ এবং প্রতি লিটার জলে তিন থেকে সাড়ে তিন গ্রাম ক্যাপটান ৮৩ শতাংশ মিশিয়ে ধান গাছের উপর স্প্রে করতে হবে।
৫। ধানে দুধ আসবার সময় গন্ধী পােকার উপদ্রব হতে দেখা যায় ; এই সময় একর প্রতি ১০ কে, জি. হারে বি-এইচ-সি ১০ শতাংশ বা সেভিন ১০ শতাংশ গুড়া ওষুধ বিকেলের দিকে গাছের উপর ছড়াতে হবে।
৬। ধান পাকবার সময় শীষকাটা লেদাপােকার উপদ্রব দেখা দিলে, একর প্রতি ১০-১২ বি-এইজ-চি ১০ শতাংশ ওষুধ ছড়াতে হবে।
_______________________________________________________________________
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....