Type Here to Get Search Results !

আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষ করুন। Cultivate jute in a modern way.

আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষ করুন। Jute cultivation Process :

পাট আমাদের দেশের একটি প্রধান অর্থকরী তন্তজাতীয় ফসল।ভারতের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ বলতে পাট ও পাট শিল্পকেই বােঝায়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে পাটের অবদান অনেকখানি। পাটের আঁশ এবং আঁশ জাতীয় জিনিস বিদেশে রপ্তানি করে ভারত প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। আর এই কারণেই পাটকে “স্বর্ণ আঁশ” বলা হয়। এছাড়া পাট চাষ করতে এবং পাট শিল্পে প্রচুর লােকের অন্নসংস্থানের সুযােগ থাকে। আমাদের দেশে প্রায় ২৫ লক্ষ কৃষিজীবী পরিবার পাট চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। পাট কেটে সেই জমিতে ধান চাষ করে পুরাে ফসল তােলা যায়। সেচ এলাকা ছাড়াও অসেচ এলাকাতেওস্বাভাবিক বৃষ্টিতেও পাট চাষ করা যায়। আমাদের দেশে প্রধান পশ্চিমবঙ্গ, অসম,বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ,উত্তরাঞ্চলএবং ত্রিপুরায় পাট চাষ করা হয়।এসব অঞ্চলে পাট চাষের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। ভারতে পাট উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষস্থান অধিকার করে রয়েছে, কারণ মােট উৎপাদনের প্রায় ৬০/৬৫ ভাগ পাটই এ রাজ্যেই হয়। পশ্চিমবঙ্গের ২৪-পরগণা, হাওড়া হুগলী, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, মালদাহ,জলপাইগুড়ি, পশ্চিম দিনাজপুর, কোচবিহার ইত্যাদি জেলায় পাট চাষ হয়। সম্প্রতি বিশ্বের এবং আমাদের দেশেও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ার দরুণ পাটের চাষ একটু কমে গেছে বটে, তবে এখনও পাট উৎপাদনে ভারত প্রথম স্থান অধিকার করে রয়েছে। অবশ্য দেশের মােট চাষ যােগ্য জমির এক শতাংশেরও কম জমিতে পাট চাষ হয়।


Image by khurshid alam from Pixabay

 পাট দু'রকমের, যেমন মিঠা ও তিতা পাট। কৃষি বিশেষজ্ঞ এবং পণ্ডিতদের গবেষণালব্ধ অভিমত হলাে, মিঠা পাটের আদি জন্মস্থান আফ্রিকা এবং তিতা পাটের আদি জন্মস্থান ভারতে। পশ্চিমবঙ্গে ব্যারাকপুরের পাট গবেষণা কেন্দ্র পাটের ওপর নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে উন্নত পদ্ধতিতে পাট চাষের সুপারিশ করে থাকে।

পাট চাষের উপযোগী জলবায়ু :

পাট গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন ফসল। উষ্ণ ও সিক্ত জলবায়ু পাট চাষের পক্ষে খুবই উপযুক্ত। যেমন ২৫° সেলসিয়াস এবং ৭০-৮০ ইঞ্চি (১৭৫-২০০ সে. মি.) বৃষ্টিপাত পাট চাষের বিশেষ উপযােগী। সাধারণত যেসব অঞ্চলে ৬০-৭০ ইঞ্চি (৫০-১৭৫ সে. মি.) বা তারও বেশি বৃষ্টিপাত হয়, সে সব অঞ্চলে পাট চাষ ভালাে হয়। আমাদের দেশে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে চৈত্র-বৈশাখে কাল বৈশাখীর প্রভাবে যে বৃষ্টি হয়, তার পরিমাণ ও বিস্তারের ওপর চাষ অনেকাংশে নির্ভর করে। আবার একেবারে অধিক বৃষ্টিপাত অপেক্ষা বারে বারে অল্প বৃষ্টিপাত হলে পাট চাষ ভালাে হয়। পাট গাছ চারা অবস্থায় জমা জল সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে না।তবে একটু বড় হলে তিতা পাট কিছুটা জমা জল সহ্য করতে পারে। পাট চাষের জমির কাছাকাছি জলাশয় বা সেচের ব্যবস্থা থাকা দরকার।

পাট চাষের উপযোগী মাটি।

এঁটেল ও বেলে মাটি পাট চাষের পক্ষে একেবারেই অনুপযুক্ত। তবে এরকম মাটি ছাড়া সব জমিতেই পাট চাষ সম্ভব। এবং পাট চাষের পক্ষে বিশেষ উপযােগী হলাে উর্বর পলিমাটি এবং দোআঁশ মাটি। সাধারণত মিঠা পাট উঁচু জমিতে এবং তিতা পাট উচু নিচু দু'রকম জমিতেই চাষ করা যায়। সাধারণত অল্প অম্ল (পি.এইচ ৬.০-৭.৫) মাটিতে পাট ভালাে হয়। জমির অম্লতা খুব বেশি হলে চুন, ডলােমাইট বা বেসিক শ্ল্যাগের গুড়াে জমিতে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। চুনের মাত্রা বছরে একর প্রতি এক কুইন্টালের বেশি যেন না হয়। তবে এসবের সঠিক মাত্রার জন্যে মাঝে মাঝে মাটি পরীক্ষা করানাে উচিত।

পাট চাষে জমি তৈরীর পদ্ধতি।  

কম করেও ৫-৬ বার লাঙল ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে জমি তৈরী করতে হবে। প্রতি একরে ৮-১০ গাড়ি গােবরের সার বা আবর্জনা সার মাটিতে খুব ভালাে করে মেশাতে হবে।

বীজ বপনের আগে ও পরে প্রস্তুতি।

১। বীজশােধন : প্রতি কিলােগ্রাম বীজের সঙ্গে ২ গ্রাম ক্যাপটান ৭৫ শতাংশ বা ব্যাভিস্টিন ৫০ শতাংশ ওষুধ মিশিয়ে বীজ শােধন করে নিতে হবে। শতকরা ৯০-৯৫ ভাগ অঙ্কুরােদগম ক্ষমতাসম্পন্ন বীজই কেবল বােনার জন্য ব্যবহার করতে হবে।


২। বীজের পরিমাণ :

(ক) মিঠা পাটের জন্য সারিতে বুনলে প্রতি একরে ১.৫ কে, জি, এবং ছিটিয়ে বুনলে প্রতি একরে ২ কে.জি. বীজ লাগবে।

(খ) তিতা পাট সারিতে বুনলে প্রতি একরে ২.৫ কে. জি, এবং ছিটিয়ে বুনলে ৩ কে, জি, বীজ লাগবে।তবে কৃষি-বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলাে, যন্ত্রের সাহায্যে সারিতে বীজ বােনা সব চেয়ে ভালাে। সারির দূরত্ব মিঠা পাটের জন্যে ৯-১০ ইঞ্চি (২২.৫-২৫ সে. মি.) এবং তিতা পাটের জন্যে ১০-১২ ইঞ্চি (২৫-৩০ সেমি) রাখা উচিত। ঘনাে পাট তুলে দিয়ে দুটি গাছের দূরত্ব ২-২.৫ ইঞ্চি (৫-৬.২৫ সে. মি.) রাখা দরকার।

(৩) বীজ বােনার পদ্ধতি : সাধারণত পাটের বীজ হাতে ছিটিয়ে বােনা হয়। তবে আগেই বলা হয়েছে যে, বীজ বােনা যন্ত্রের সাহায্যে সারিতে বীজ বােনা উচিত। বীজ হাতে ছিটিয়ে বুনলে জমির পূর্ব পশ্চিমে একবার এবং উত্তর দক্ষিণে আর এবার বীজ বােনা উচিত। এতে জমির সর্বত্র বীজ পড়ে। বীজ বােনার পর কাজ হলাে, মই দিয়ে বীজ গুলিকে মাটি চাপা দিয়ে দিতে হবে। ফলন বৃদ্ধি এবং উন্নত মানের আঁশ পাওয়ার জন্য বীজ বােনা যন্ত্রের সাহায্যে সারিতে বীজ বােনাই উচিত।

৪। বীজ বপনের সময় নির্ধারণ ।

পাটের বিভিন্ন জাতের চাযের পক্ষে উপযুক্ত জমি, বীজ বােনার সময়, ফসল কাটার সময় এবং প্রতি একরে সম্ভাব্য ফলন কিরকম হবে নিচে তার বর্ণনা দেওয়া হলাে :

উন্নত জাতের নাম : মিঠা পাট চৈতালী (তােষা) (জে,আর ও-৮৭৮) ।

প্রয়োজনীয় জমি : কম বৃষ্টি এলাকায় উচু জমি।

বীজ বােনার সময় : ফাল্গুনের শেষ থেকে চৈত্রের মাঝামাঝি।

ফসল কাটার সময় : শ্রাবণের দ্বিতীয় থেকে শেষ সপ্তাহের মধ্যে।

পাট চাষে সার প্রয়োগ পদ্ধতি:

পাটের ফলন বাড়াতে হলে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়ােগ করতে হবে।আলু চাষের জমি পাট চাষের পক্ষে খুবই উপযুক্ত, কারণ সে জমি মােটামুটি তৈরীই থাকে।তবে অন্য জমিতে পাট চাষ করলে জমি তৈরীর সময় মিঠা পাটে প্রতি একরে ৫.৯ কে,জি, ফসফেট এবং ৮-৯ কে, জি, পটাশিয়াম এবং তিতা পাটের জন্য একর প্রতি ৮-১২ কে, জি, ফসফরাস এবং ৮-১২ কে. জি, পটাশিয়াম মূল সার হিসাবে প্রয়ােগ করতে হবে।বীজ বােনার এক মাস পরে নিড়েন নাইট্রোজেন চাপান সার হিসাবে প্রয়ােগ করতে হবে।তৰে বেলে দোআঁশ মাটিতে একর প্রতি তিতা পাটে প্রতিবারে ৭-৮ কে. জি. এবং মিঠা পাটে ৪-৬ কেজি, হারে নাইট্রোজেন প্রয়ােগ করা প্রয়ােজন। গবেষণা করে দেখা গেছে, সম্পূর্ণ নাইট্রোজেন ঘটিত সারের অর্ধেক মাটিতে প্রয়ােগ এবং বাকি অর্ধেক ইউরিয়া হিসাবে পাতায় প্রয়োগ করলে সারের ৪০-৪৫ দিনের মাথায় এবং ৫০-৬০ দিনের মাথায় প্রতি লিটার জলে ২০ গ্রাম ইউরিয়া গুলে পাতায় স্প্রে করতে হবে। সকাল বা বিকাল যে কোনাে সময়ে স্প্রে করা যেতে পারে। পাটে মূল সার হিসাবে নাই- ট্রোজেন প্রয়ােগ করার ব্যাপারে প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে। নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, নাইট্রোজেন ঘটিত রাসায়নিক সার জমি তৈরীর সময় প্রয়ােগ করলে আগাছা বেশি করে গজায় এবং সারের অপচয়ও বেশি হয়। এছাড়া চারা বাছাইয়ের সময় প্রায় অর্ধেক চারা তুলে ফেলতে হবে। কারণ এসৰ চারা মূল সারের কিছু অংশ শােষণ করে নেয়। অতএব চারা বাছাই ও নিড়েন দেওয়ার পর দুই কিস্তিতে নাইট্রোজেন ঘটিত সার প্রয়ােগ করলে ফলন বেশ ভালোই হয়।আলুর জমিতে পাট বুনলে সাধারণত চাপান সার হিসেবে নাইট্রোজেনপ্রয়ােগ করতে পারেন।

 পাট চাষে পরিচর্যা:

পাট চাষে পরিচর্যা নানান ধরনের ; যেমন আগাছার বিনাশ ঘটানাে, গাছের ঘনত্ব কমানাে, মাটি, আল্গা করা এবং গাছে কীটনাশক ওষুধ দেওয়াই অন্যতম। এছাড়া সারিতে বোনা পাটে বীজ বােনার ১০, ২০ এবং ৩০ দিনের মাথায় চাকা বিদা চালিয়ে আগাছা বিনাশ এবং মাটি আল্গা করে দিতে হবে। দানা ৫-৬ ইঞ্চি (১২.৫-১৫ সে. মি.) লম্বা হলে হাত নিড়ানি দিয়ে  আগাছা এবং ঘন পাট তুলে প্রতি সারিতে ২-২.৫ ইঞ্চি (৫-৬.২৫ সে. মি.)-এর ব্যবধানে একটি করে পাট রাখতে হবে। ছিটিয়ে পাট বােনা হলে ৪ ইঞ্চি (১০ সে. মি.) অন্তর গাছ তুলে দিতে হবে।

পাট চাষের শুরু থেকেই জনমজুর দিয়ে পাটের জমি থেকে আগাছা পরিষ্কার করা হয় এবং এ বাবদে বেশ ভালাে রকমের খরচ বহন করতে হয় চাষী ভাইদের। পাট চাষের মোট খরচের ৪০-৪৫ শতাংশ হয় এই আগাছা সাফাইয়ের জন্য। তাই এই খরচা কমানাের সমস্যা সমাধানে আকাল নানান ধরনের আগাছা মরার ওষুধ প্রয়ােগ করার পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। বিধানচন্দ্ৰ কৃষি বিশ্ব- বিদ্যালয় এবং ব্যারাকপুর পাট-কৃষি অনুসন্ধান সংস্থার গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ডালাপন, এনিবেন, এস, এম, এ. (আনসার), সারমেট, নাইট্রোলিন, কার্ব (আর, এইচ-৩১৫), টি. এফ. পি. (ফ্রেনক) ইত্যাদি আগাছা মারার ওষুধ পাটক্ষেত্রে আগাছা বিনাশ বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। নিচে কয়েকটি পদ্ধতির উল্লেখ করা হলাে, এর মধ্যে থেকে যে কোনাে একটি পাট ক্ষেত্রের আগাছা বিনাশের জন্য প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেমনঃ


(১) পাটবীজ ৰােনার আগে আগাছা দমন :

পাট বােনার জন্য তৈরী জমিতে বীজ বােনার দশ দিন আগে প্রতি লিটার জলে এক মিলিলিটার ‘ফ্রেনক’ ওষুধ মিশিয়ে ক্ষেতের সর্বত্র সমভাবে স্প্রে করে দিতে হবে। এভাবে আগাছা সম্পূর্ণভাবে বিনাশের ব্যবস্থা করার অর্থাৎ কীটনাশক ওষুধ প্রয়ােগ করার দশ দিন পরে এই আগাছা মুক্ত জমিতে পাটের বীজ বােনা যেতে পারে। এই প্রথায় মােথা ও বিশেষ করে ঘাস জাতীয় আগাছা নির্মূল হয় এবং পাটের কোনো ক্ষতি হয় না। বরং প্রাথমিক পর্যায়ে পাট চাষের খরচ অনেক কম হয়।


(২) পাটবীজ বােনার পরে, তবে বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার আগে আগাছা দমন করতেহবে। প্রতি লিটার জলে আড়াই মিলি লিটার কার্ব মিশিয়ে বীজ বােনার একদিন পর সেই জমিতে সমানভাবে স্প্রে করতে হবে। এই ওষুধ প্রয়ােগে ঘাস ও চওড়া পাতাযুক্ত আগাছা খুব ভালাে ভাবেই নির্মূল করা যায়। কিন্তু এ ওষুধে মােথা মরে না। তাই যে জমিতে মােথা থাকে না, তবে অন্য আগাছা থাকে, সেক্ষেত্রে সেই জমিতে কার্ব খুবই কার্যকরী ওষুধ।


(৩) পাটগাছ গজানাের পরে আগাছা দমন কী ভাবে করতে হবে ? প্রতি লিটার জলে ৫ মিলি লিটার আনসার-৫২৯ ওষুধ গুলে পাটগাছ জন্মানাের ২০/৩০ দিন পরে পাটগাছের শুধু সারির মধ্যে স্প্রে করার যন্ত্রের মাথায় ঢাকনা লাগিয়েআগাছার ওপর স্প্রে করতে হবে। পাটগাছে এই ওষুধ খুবই ক্ষতিকারক। তাই পাট রক্ষা করার জন্য সারিতে বােনা ফসলে স্প্রে করার যন্ত্রের মাথায় ঘেরাটোপা লাগিয়ে কেবল আগাছার ওপরেই ওষুধ স্প্রে করার ব্যবস্থা করতে হবে। আগাছা দমন করার পক্ষে এ ওষুধ খুবই কার্যকর হয়।

এ ওষুধের বিকল্প হলাে, প্রতি লিটার জলে আটগ্রাম ডালাপন গুলে পাট বােনার ৩০/৩৫ দিন পর জমিতে স্প্রে করতে হবে। এ ওষুধ ঘাস জাতীয় আগাছার যম। তবে এ ওষুধ প্রয়ােগ করার পর ১৫ দিন পর্যন্ত পাট গাছের বৃদ্ধিলাভ ঘটে না, তার জন্যে ঘাবড়াবেন না।দেখবেন, তারপর পাটগাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায় এবং ফলনও বেশি হয়।


আর এক বিকল্প হলাে, প্রতি লিটার জলে ৮ গ্রাম ডালাপন এবং ৮ গ্রাম আনসার ৫২৯ ওষুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পাট জন্মানাের ২৫/৩০ দিন পরে পাটগাছের শুধু সারির মাঝে স্প্রে করার যন্ত্রের মাথায় ঘেরাটোপ লাগিয়ে আগাছার ওপর স্প্রে করতে হবে। এই পদ্ধতি ঘাস জাতীয় আগাছা কোথা এবং অন্যান্য আগাছা সম্পূর্ণভাবে নির্মূলভাবে করার পক্ষে খুবই উপযােগী। তবে এক্ষেত্রেও পাট গাছের কাছে এ ধরনের ওষুধ লাগলে পাটের খুবই ক্ষতি হয়। এই জন্যেই বলে রাখি, এ ওষুধ খুব সাবধানে প্রয়ােগ করতে হবে যাতে করে কেবল মাত্র অগাছার ওপরেই যেন পড়ে, পাটগাছে নয়।”

ফলন : একরে সম্ভাব্য  ১০-১২ (কুইন্টাল)।

_________________________________________________________________________
 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.