ভুট্টা।Maize :
ভুট্টা চাষ করতে হলে তার বিভিন্ন জাত সম্পর্কে আগে জানতে হবে। কারণ কোন জাত কোথায় চাষ করলে ভালো ফসল পাওয়া যাবে তা এখান থেকে জানতে পারবেন। আসুন এবার ভুট্টার জাত সম্পর্কে আপনাদের অবগত করাই।
(ক) সংকর জাত (হাইব্রিড) :
সংকর জাতের বীজগুলাে একবছর চাষ করার পর এদের গুণগত মান কমে যায়। তাই এর থেকে বীজ তৈরী করা লাভজনক নয়। আর এই কারণেই প্রতি বছর বীজ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে নতুন বীজ সংগ্রহ করে চাষ করতে হয়।সেই সব জাতের বীজগুলি হলাে এই রকম :-
আমাদের দেশের অধিবাসীদের কাছে ভুট্টাও একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য। ভারতের সর্বত্রই এই খাদ্যশস্যের চাষ হয়ে থাকে। আবার কোথাও কোথাও এই খাদ্যশস্য পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এর মিষ্টি ও রসালাে ডাটা ও পাতা পশুদের উপাদেয় খাদ্য। পার্বত্য অধিবাসী ও উপজাতিদের কাছে এটা একটি প্রিয় খাদ্য। ভুট্টা দানার শতকরা ৭২ ভাগ কার্বোহাইড্রেট, ১০ ভাগ প্রােটিন, ৪ ভাগ ফ্যাট, ১০ ভাগ জল, ১.৪০ ভাগ খনিজ পদার্থ ও অন্যান্য পদার্থ আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম এই দানা থেকে ৩৭০ ক্যালরি দৈহিক তাপশক্তি সংগ্রহ করা যায়।
ভুট্টা চাষ করতে হলে তার বিভিন্ন জাত সম্পর্কে আগে জানতে হবে। কারণ কোন জাত কোথায় চাষ করলে ভালো ফসল পাওয়া যাবে তা এখান থেকে জানতে পারবেন। আসুন এবার ভুট্টার জাত সম্পর্কে আপনাদের অবগত করাই।
Image by Bishnu Sarangi from Pixabay |
ভুট্টার জাত :- ভুট্টা দু'রকম জাতের হয়। যেমন, সংকর (হাইব্রিড) এবং বিমিশ্রপ্রকার (কম্পােজিট)। এদের আবার বিভিন্ন জাত আছে, সেগুলাে হলাে ----
(ক) সংকর জাত (হাইব্রিড) :
সংকর জাতের বীজগুলাে একবছর চাষ করার পর এদের গুণগত মান কমে যায়। তাই এর থেকে বীজ তৈরী করা লাভজনক নয়। আর এই কারণেই প্রতি বছর বীজ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে নতুন বীজ সংগ্রহ করে চাষ করতে হয়।সেই সব জাতের বীজগুলি হলাে এই রকম :-
(১) গঙ্গা-১ : - এটি একটি দ্বিসংকরজাত। যেমন সি.এস-১০০xসি.এস-২০০ এবং সি.এস-১০১xসি-এস-২০২-এর সংকর জাত। এ জাতের ভুট্টার গাছ মাঝারি লম্বা, মােটা কাণ্ড বিশিষ্ট এবং সহজে পড়ে যায় না। প্রতিটি গাছে দু'টি করে মােচা থাকে। এর দানা ছােট হলেও বেশ শক্ত, দানার রঙ হলদেটে। মাজরা পােকা এবং ডাউনি মিলডিউ রােগ প্রতিরােধের ক্ষমতা রাখে এই জাতের ভুট্টা। এর ফসল পাকতে সময় লাগে ৮০-৯০ দিন।এ জাতের ভুট্টা পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে পাহাড়ী অঞ্চলে যেখানে ভালাে বৃষ্টি হয় সেখানে চাষের পক্ষে উপযুক্ত। প্রতি একরে আনুমানিক ফলন হয় ২৪-২৫ কুইন্টাল।
(২) গঙ্গা সফেদ-২ঃ সি.এস-৩০০xসি. এম-৪০০ এবং সি. এস-৬০০-এর সংকর। অর্থাৎ এটিও দ্বিসংকর জাত। এর গাছও মাটিতে পড়ে যায় না। প্রতি গাছে দু'টি করে পরিপূর্ণ মােচা থাকে। দানার কোনাে রঙ নেই, ধাপ এবং মাজরা পােকা দমনে জাতটি মাঝামাঝি ধরনের শক্তিসম্পন্ন। ফসল পাকতে সময় লাগে ১০০ থেকে ১১০ দিন, তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। একর প্রতি এর ফলন আনুমানিক ২৪-২৫ কুইন্টাল।এ জাতের ভুট্টা চাষের পক্ষে খুবই উপযােগী।
(৩) গঙ্গা-৩ :- এটিও দ্বিসংকর জাতের। সি.এর-১০৯xসি.এস-১১০ এবং সি-এম-২০২xসি. এস-১১১-এর সংকর। এর দানা শক্ত হয়, চকচকে দানা, রঙ কমলা-হলদে। প্রতিটি গাছে দু'টি করে পরিপূর্ণ মােচা থাকে। ধসা ও ডাউনি মিলডিউ রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম। প্রতি একরে ২৪-২৫ কুইন্টাল ফসল হয়। পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় অঞ্চলে চাষের উপযােগী জাত। ফসল পাকে ৯০-৯৫ দিনের মধ্যে, আর সেটাই ফসল কাটার উপযুক্ত সময়।
(৪) গঙ্গা-৪ : এ জাতের গাছ মাঝারি লম্বা। এর কাণ্ড মােটা ধরনের হয়, তাই এ গাছ নুইয়ে পড়ে না। প্রতিটি গাছে দু'টি করে মােচা হয়। এর দানা শক্ত এবং সাদা হয়। এ জাতের ফসলও মাজরা পােকা, ধসা এবং ডাউনি মিলডিউ এবং চিটে রােগ প্রতি প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে এর দানা পেকে যায়, তখন ফসল কাটার উপযুক্ত সময়। একর প্রতি ২৪-২৮ কুইটাল ফসল হয়।
(৫) গঙ্গা-৫ :- যেখানে বৃষ্টিপাত হয় এবং সেচ এলাকায় এটি চাযের জন্য ভালাে জাত। এর গাছ ঢলে পড়ে না। এর দানা শক্ত হয় এবং এর রঙ হলদে হয়। এ জাতের গাছও মাজরা পােকা এবং ডাউনি মিলডিউ ও চিটে রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ১০০ দিনের মধ্যেই ফসল পেকে যায়। তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। গঙ্গা-৩ জাতের চেয়ে অনেক বেশি ফসল ফলে।
(৬) হিমালয়ান-১২৩: এটিও দ্বিসংকর জাতের ভুট্টা। সি.এস-১০৫xসি. এস-১০২ এবং সি. এস-১১২xসি. এস-১১৩-এর সংকর জাত। গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এর দানা শক্ত এবং এর রঙ হলদেটে। ধসা এবং ডাউনি মিলডিউ রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম জাত।
পশ্চিমবঙ্গে চাষের উপযােগী জাত। এর দানা ১০৫ দিন থেকে ১১০ দিনের মধ্যে পেকে যায়, তখন ফসল কাটার উপযুক্ত সময়। পশ্চিমবঙ্গে এটি চাষের উপযুক্ত জাত এবং পাহাড়ী এলাকায় চাষের পক্ষে এটি একটি উপযুক্ত জাত। প্রতি একরে ২৫-৩০ কুইন্টাল ফসল হয় ।
(৭) হাই স্টার্চ : এটিও দ্বিসংকর জাত। সি.এম-৪০০xসি.এম-৩০ এবং সি.এম-৬০১-এর সংকর জাত। এর গাছের পাতা চওড়া। গাছ নুইয়ে পড়ে না। মাজরা পােকা প্রতিরােধ করার পক্ষে এটি সক্ষম জাত। তবে ধসা ও মরচে রােগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এর দানার কোনাে রঙ নেই এবং উচ্চ শ্বেতসারযুক্ত। ৯৫ দিনের মধ্যে ফসল পেকে যায় এবং সেই সময়টা ফসল কাটার উপযুক্ত সময়। এর দানার কোনাে রঙ নেই এবং উচ্চ শ্বেতসারযুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের সমতলভূমিতে এ জাত চাষের পক্ষে খুবই উপযােগী।
(২) গঙ্গা সফেদ-২ঃ সি.এস-৩০০xসি. এম-৪০০ এবং সি. এস-৬০০-এর সংকর। অর্থাৎ এটিও দ্বিসংকর জাত। এর গাছও মাটিতে পড়ে যায় না। প্রতি গাছে দু'টি করে পরিপূর্ণ মােচা থাকে। দানার কোনাে রঙ নেই, ধাপ এবং মাজরা পােকা দমনে জাতটি মাঝামাঝি ধরনের শক্তিসম্পন্ন। ফসল পাকতে সময় লাগে ১০০ থেকে ১১০ দিন, তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। একর প্রতি এর ফলন আনুমানিক ২৪-২৫ কুইন্টাল।এ জাতের ভুট্টা চাষের পক্ষে খুবই উপযােগী।
(৩) গঙ্গা-৩ :- এটিও দ্বিসংকর জাতের। সি.এর-১০৯xসি.এস-১১০ এবং সি-এম-২০২xসি. এস-১১১-এর সংকর। এর দানা শক্ত হয়, চকচকে দানা, রঙ কমলা-হলদে। প্রতিটি গাছে দু'টি করে পরিপূর্ণ মােচা থাকে। ধসা ও ডাউনি মিলডিউ রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম। প্রতি একরে ২৪-২৫ কুইন্টাল ফসল হয়। পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় অঞ্চলে চাষের উপযােগী জাত। ফসল পাকে ৯০-৯৫ দিনের মধ্যে, আর সেটাই ফসল কাটার উপযুক্ত সময়।
(৪) গঙ্গা-৪ : এ জাতের গাছ মাঝারি লম্বা। এর কাণ্ড মােটা ধরনের হয়, তাই এ গাছ নুইয়ে পড়ে না। প্রতিটি গাছে দু'টি করে মােচা হয়। এর দানা শক্ত এবং সাদা হয়। এ জাতের ফসলও মাজরা পােকা, ধসা এবং ডাউনি মিলডিউ এবং চিটে রােগ প্রতি প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে এর দানা পেকে যায়, তখন ফসল কাটার উপযুক্ত সময়। একর প্রতি ২৪-২৮ কুইটাল ফসল হয়।
(৫) গঙ্গা-৫ :- যেখানে বৃষ্টিপাত হয় এবং সেচ এলাকায় এটি চাযের জন্য ভালাে জাত। এর গাছ ঢলে পড়ে না। এর দানা শক্ত হয় এবং এর রঙ হলদে হয়। এ জাতের গাছও মাজরা পােকা এবং ডাউনি মিলডিউ ও চিটে রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ১০০ দিনের মধ্যেই ফসল পেকে যায়। তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। গঙ্গা-৩ জাতের চেয়ে অনেক বেশি ফসল ফলে।
(৬) হিমালয়ান-১২৩: এটিও দ্বিসংকর জাতের ভুট্টা। সি.এস-১০৫xসি. এস-১০২ এবং সি. এস-১১২xসি. এস-১১৩-এর সংকর জাত। গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এর দানা শক্ত এবং এর রঙ হলদেটে। ধসা এবং ডাউনি মিলডিউ রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম জাত।
পশ্চিমবঙ্গে চাষের উপযােগী জাত। এর দানা ১০৫ দিন থেকে ১১০ দিনের মধ্যে পেকে যায়, তখন ফসল কাটার উপযুক্ত সময়। পশ্চিমবঙ্গে এটি চাষের উপযুক্ত জাত এবং পাহাড়ী এলাকায় চাষের পক্ষে এটি একটি উপযুক্ত জাত। প্রতি একরে ২৫-৩০ কুইন্টাল ফসল হয় ।
(৭) হাই স্টার্চ : এটিও দ্বিসংকর জাত। সি.এম-৪০০xসি.এম-৩০ এবং সি.এম-৬০১-এর সংকর জাত। এর গাছের পাতা চওড়া। গাছ নুইয়ে পড়ে না। মাজরা পােকা প্রতিরােধ করার পক্ষে এটি সক্ষম জাত। তবে ধসা ও মরচে রােগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এর দানার কোনাে রঙ নেই এবং উচ্চ শ্বেতসারযুক্ত। ৯৫ দিনের মধ্যে ফসল পেকে যায় এবং সেই সময়টা ফসল কাটার উপযুক্ত সময়। এর দানার কোনাে রঙ নেই এবং উচ্চ শ্বেতসারযুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের সমতলভূমিতে এ জাত চাষের পক্ষে খুবই উপযােগী।
(১) অম্বর : সাধারণত এ গাছের কাণ্ড মােটা হয় এবং পাতাগুলি ঘনাে সবুজ। প্রতি গাছে দু’টি করে মােচা হয়। দানা মাঝারি ধরনের এবং বেশ শক্ত। এর দানা পাকে ১০০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে এবং তখনি ফসল কাটার উপযুক্ত সময়। এ জাতের ভুট্টা পাতা রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম। সমতলভূমি এবং পাহাড়ী এলাকায় চাষের পক্ষে এটি উপযুক্ত জাত। প্রতি একরে ১৮-২০ কুইন্টাল ফলন হয়। ফসল কাটার সময়েও এর গাছ সবুজ থেকে যায়।
(২) সােনা : এ গাছের কাণ্ডও মােটা হয় এবং গাছে চওড়া ঘনাে সবুজ পাতা থাকে। এ গাছ হেলে পড়ে না। এ জাতের গাছ পাতার রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ১০০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে এর দানা পেকে যায়। ফসল কাটার সময়েও গাছগুলি সবুজ থেকে যায়। তাই এগুলি পশুখাদ্যের জন্যেও উপযােগী। প্রতি একরে ২০-২৫ কুইন্টাল ফলন হয়। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের নিম্ন গাঙ্গেয় অঞ্চলে এই জাতের ভুট্টা চাষ করা যায়।
(৩) বিজয়া : এর কাণ্ডও বেশ মােটা এবং গাছের পাতা ঘনাে সবুজ। প্রতি গাছে দুটি করে মােচা হয়। এর দানা মাঝারি এবং শক্ত। ১০০ থেকে ১০৫ দিনে দানা পেকে যায়, তখনি ফসল কাটার উপযুক্ত সময়। সােনা জাতের মতাে ফসল কাটার সময় এর গাছগুলাে সবুজ থাকে। এ জাতের গাছ পাতা রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ফসল কাটার পরেও যেহেতু গাছগুলির পাতা সবুজ থাকে তাই সেগুলি পশুখাদ্যের পক্ষে উপযােগী। সােনা জাতের থেকে এর ফসল একটু কম হয়, প্রতি একরে ১৮-২০ কুইন্টাল।
(৪) কিষাণ : এ জাতের গাছের কাণ্ড মােটা হয় এবং ঘনাে সবুজ পাতায় ভর্তি থাকে। এ গাছ নুইয়ে পড়ে না। প্রতি গাছে দু’টি করে মােটা হয়। দানা মাঝারি ও শক্ত হয় এবং এর দানার রঙ কমলা-হলুদ হয়। এ গাছ পাতা ধসা ও মাজরা পােকা প্রতিরােধ করার ক্ষমতা রাখে। বিহার ও ঝাড়খণ্ডে রবি এবং খরিফ খন্দে ভালো ফসল দেয়। পশ্চিমবাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লী, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের সিন্ধু গাঙ্গেয় অঞ্চল এ জাতের ভুট্টার চাষের পক্ষে ভালাে জাত। ১০৫ থেকে ১১০ দিনে এর দানা পেকে যায়, তখনি ফসল কাটার উপযুক্ত সময়, প্রতি একরে ২৪-২৫ কুইন্টাল ফসল হয়।
(৫) বিক্রম :- এ গাছের কাণ্ডও মােটা হয় এবং চওড়া ঘনো সবুজ পাতায় ভরে যায়।গাছ পড়ে যায় না। প্রতি গাছে দুটি করে মােচা হয়। এ জাতের গাছ ঢলে পড়া রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম এবং মাজরা পােকা রােগ প্রতিরােধ করতেও পারে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লী, গুজরাট, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের স্বল্প বৃষ্টিজাতের অঞ্চলে চাষের পক্ষে ভালাে জাত। ৯০-৯৫ দিনে এর দানা পেকে যায়, তখন ফসল কেটে ফেলতে হবে। ফসল কাটার সময়ও এ গাছের পাতাগুলি সবুজ থাকে। বা পশুখাদ্যের উপযােগী। একর প্রতি ২৪-২৫ কুইন্টাল ফলন হয়।
(৬) জহর :- এ গাছের কাণ্ডও মােটা এবং এর পাতা ঘনাে সবুজ হয়। গাছ হেলে পড়ে না। প্রতি গাছে দু'টি করে মােচা হয়। দানা মাঝারি, সামান্য একটু শক্ত হয় এবং এর দানার রঙ হলুদ। ফসল কাটা পর্যন্ত গাছের পাতা সবুজ থাকে বলে পশুখাদ্যের উপযােগী। ৮৫-৯০ দিনের মধ্যে দানা পেয়ে যায়। তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাঞ্চল, বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লী ও রাজস্থানের কিছু অংশে এ জাতের ভুট্টা চাষের পক্ষে উপযােগী। পশ্চিমবঙ্গে এ জাতের ভুট্টা চাষ বড় একটা হয় না। প্রতি একরে ২৪-২৫ কুইন্টাল ফলন হয়।
(৭) শক্তি :- এ গাছের কাণ্ড খুব একটা মােটা হয় না, তবে এ গাছ পতন রােধ করতে সক্ষম। এর দানা প্রােটিন ও লাইসিন খাদ্যোপাদানে সমৃদ্ধ। যে কোনাে রােগ পােকা প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ১০০-১১০ দিনে এর দানা পেকে যায়। তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। এ জাতের ভুট্টা চাষের এলাকা সীমিত। কেবলমাত্র মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাঞ্চলের তরাই' এলাকা এ জাতের ভুট্টা চাষের উপযােগী। প্রতি একরে ১৫-২০ কুইন্টাল ফলন হয়।
(৮) রতন :- এ গাছের কাণ্ড মাঝারি আকারের, তবে গাছের পতন রােধ করতে সক্ষম। মাজরা পােকা, ডাউনি মিলডিউ এবং চিটে রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম এ গাছ। পাঞ্জাব ও রাজস্থান চাষের পক্ষে এ জাত উপযােগী। ১০০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে এর দানা পেকে যায়, তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। প্রতি একরে ১৫-১৬ কুইন্টাল ফসল হয়।
(৯) চন্দন মক্কা :- এর গাছ বেশ লম্বা হয়, ২-৩ মিটার পর্যন্ত। এর কাণ্ড মােটা এবং ঘন সবুজ পাতায় ভরে যায় গাছ।প্রতি গাছে দু’টি করে মােচা হয় এবং বেশ বড় আকারেরই হয়। দানা বেশ শক্ত হয় এবং এর দানার রঙ হলুদ বর্ণের।মাজরা পােকা, ধসা, মরচে ও ডাউনি মিউডিউ রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম এই গাছ। ৯৫-১০০ দিনে দানা পেকে।যায়, তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। পাতা সবুজ থাকার দরুণ পশুখাদ্যের পক্ষে উপযােগী, একর প্রতি ২৫-৩০ কুইন্টাল ফলন হয়।
(২) সােনা : এ গাছের কাণ্ডও মােটা হয় এবং গাছে চওড়া ঘনাে সবুজ পাতা থাকে। এ গাছ হেলে পড়ে না। এ জাতের গাছ পাতার রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ১০০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে এর দানা পেকে যায়। ফসল কাটার সময়েও গাছগুলি সবুজ থেকে যায়। তাই এগুলি পশুখাদ্যের জন্যেও উপযােগী। প্রতি একরে ২০-২৫ কুইন্টাল ফলন হয়। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের নিম্ন গাঙ্গেয় অঞ্চলে এই জাতের ভুট্টা চাষ করা যায়।
(৩) বিজয়া : এর কাণ্ডও বেশ মােটা এবং গাছের পাতা ঘনাে সবুজ। প্রতি গাছে দুটি করে মােচা হয়। এর দানা মাঝারি এবং শক্ত। ১০০ থেকে ১০৫ দিনে দানা পেকে যায়, তখনি ফসল কাটার উপযুক্ত সময়। সােনা জাতের মতাে ফসল কাটার সময় এর গাছগুলাে সবুজ থাকে। এ জাতের গাছ পাতা রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ফসল কাটার পরেও যেহেতু গাছগুলির পাতা সবুজ থাকে তাই সেগুলি পশুখাদ্যের পক্ষে উপযােগী। সােনা জাতের থেকে এর ফসল একটু কম হয়, প্রতি একরে ১৮-২০ কুইন্টাল।
(৪) কিষাণ : এ জাতের গাছের কাণ্ড মােটা হয় এবং ঘনাে সবুজ পাতায় ভর্তি থাকে। এ গাছ নুইয়ে পড়ে না। প্রতি গাছে দু’টি করে মােটা হয়। দানা মাঝারি ও শক্ত হয় এবং এর দানার রঙ কমলা-হলুদ হয়। এ গাছ পাতা ধসা ও মাজরা পােকা প্রতিরােধ করার ক্ষমতা রাখে। বিহার ও ঝাড়খণ্ডে রবি এবং খরিফ খন্দে ভালো ফসল দেয়। পশ্চিমবাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লী, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের সিন্ধু গাঙ্গেয় অঞ্চল এ জাতের ভুট্টার চাষের পক্ষে ভালাে জাত। ১০৫ থেকে ১১০ দিনে এর দানা পেকে যায়, তখনি ফসল কাটার উপযুক্ত সময়, প্রতি একরে ২৪-২৫ কুইন্টাল ফসল হয়।
(৫) বিক্রম :- এ গাছের কাণ্ডও মােটা হয় এবং চওড়া ঘনো সবুজ পাতায় ভরে যায়।গাছ পড়ে যায় না। প্রতি গাছে দুটি করে মােচা হয়। এ জাতের গাছ ঢলে পড়া রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম এবং মাজরা পােকা রােগ প্রতিরােধ করতেও পারে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লী, গুজরাট, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের স্বল্প বৃষ্টিজাতের অঞ্চলে চাষের পক্ষে ভালাে জাত। ৯০-৯৫ দিনে এর দানা পেকে যায়, তখন ফসল কেটে ফেলতে হবে। ফসল কাটার সময়ও এ গাছের পাতাগুলি সবুজ থাকে। বা পশুখাদ্যের উপযােগী। একর প্রতি ২৪-২৫ কুইন্টাল ফলন হয়।
(৬) জহর :- এ গাছের কাণ্ডও মােটা এবং এর পাতা ঘনাে সবুজ হয়। গাছ হেলে পড়ে না। প্রতি গাছে দু'টি করে মােচা হয়। দানা মাঝারি, সামান্য একটু শক্ত হয় এবং এর দানার রঙ হলুদ। ফসল কাটা পর্যন্ত গাছের পাতা সবুজ থাকে বলে পশুখাদ্যের উপযােগী। ৮৫-৯০ দিনের মধ্যে দানা পেয়ে যায়। তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাঞ্চল, বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লী ও রাজস্থানের কিছু অংশে এ জাতের ভুট্টা চাষের পক্ষে উপযােগী। পশ্চিমবঙ্গে এ জাতের ভুট্টা চাষ বড় একটা হয় না। প্রতি একরে ২৪-২৫ কুইন্টাল ফলন হয়।
(৭) শক্তি :- এ গাছের কাণ্ড খুব একটা মােটা হয় না, তবে এ গাছ পতন রােধ করতে সক্ষম। এর দানা প্রােটিন ও লাইসিন খাদ্যোপাদানে সমৃদ্ধ। যে কোনাে রােগ পােকা প্রতিরােধ করতে সক্ষম। ১০০-১১০ দিনে এর দানা পেকে যায়। তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। এ জাতের ভুট্টা চাষের এলাকা সীমিত। কেবলমাত্র মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাঞ্চলের তরাই' এলাকা এ জাতের ভুট্টা চাষের উপযােগী। প্রতি একরে ১৫-২০ কুইন্টাল ফলন হয়।
(৮) রতন :- এ গাছের কাণ্ড মাঝারি আকারের, তবে গাছের পতন রােধ করতে সক্ষম। মাজরা পােকা, ডাউনি মিলডিউ এবং চিটে রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম এ গাছ। পাঞ্জাব ও রাজস্থান চাষের পক্ষে এ জাত উপযােগী। ১০০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে এর দানা পেকে যায়, তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। প্রতি একরে ১৫-১৬ কুইন্টাল ফসল হয়।
(৯) চন্দন মক্কা :- এর গাছ বেশ লম্বা হয়, ২-৩ মিটার পর্যন্ত। এর কাণ্ড মােটা এবং ঘন সবুজ পাতায় ভরে যায় গাছ।প্রতি গাছে দু’টি করে মােচা হয় এবং বেশ বড় আকারেরই হয়। দানা বেশ শক্ত হয় এবং এর দানার রঙ হলুদ বর্ণের।মাজরা পােকা, ধসা, মরচে ও ডাউনি মিউডিউ রােগ প্রতিরােধ করতে সক্ষম এই গাছ। ৯৫-১০০ দিনে দানা পেকে।যায়, তখন ফসল কেটে ফেলতে হয়। পাতা সবুজ থাকার দরুণ পশুখাদ্যের পক্ষে উপযােগী, একর প্রতি ২৫-৩০ কুইন্টাল ফলন হয়।
________________________________________________________________________________
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....