আধুনিক পদ্ধতিতে কলমী শাক চাষ করুন।
![]() |
চাষবাস বারোমাস। Bengali Agriculture |
প্রয়োজনীয় মাটি ও জলবায়ু :
স্যাতসেঁতে মাটিতে ভালাে হয়। মাটিতে জৈব সার থাকা প্রয়ােজন। জল জমা সহ্য করতে পারে। গাছ বেশি বড় হয়ে গেলে লতিয়ে চলে। গরম আবহাওয়ার ফসল।
জাত : দেশী।
বীজের পরিমাণ কত লাগবে ?
১.৫-২ কেজি/বিঘা। বীজ ছাড়া পাতা কেটে বসিয়ে গাছ তৈরি করা যায়।
বীজশােধন পদ্ধতি:
প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম কার্বেনডাজিম মিশিয়ে বীজ ৩০ মিনিট ভেজানাে হয়।ভিজিয়ে রাখার পর তুলে নিয়ে ভালোভাবে প্যাকেট করে রাখবেন যাতে কোনো ভাবে নষ্ট না হয়।
বীজ বােনার সময় : ফাল্গুন-জ্যৈষ্ঠ (ফেব্রুয়ারি- মে)।
বীজ কত দূরত্বে বসাবেন?
সাধারণত ছিটিয়ে বােনা হয়। তবে ২ ফুটের দূরত্বের সারিতে গায়ে গায়ে বীজ লাগানাে যায়।
জমি তৈরি ও সার প্রয়ােগ কিভাবে করবেন?
বিঘা (৩৩ শতক) প্রতি ২৫-৩০ কুইন্টাল জঞ্জাল সার বা কমপক্ষে ৫০ কেজি খােল দিয়ে ৩-৪টি চাষ দেওয়া হয়। বিঘা প্রতি ২ কেজি অ্যাজোফস প্রয়োগ করা যায়। রাসায়নিক সার প্রতি বিঘাতে নীচের যে কোনাে একটি সেটের মতাে দিতে হবে।
সেট-১ ইউরিয়া ১৫ কেজি, সি.সু.ফসফেট ৪১.৫ কেজি এবং মিউ. পটাশ ১১ কেজি।
সেট-২ ইউরিয়া ৯ কেজি, ডি এ.পি. ১৫ কেজি এবং মিউ, পটাশ ১১ কেজি।
সেট-৩ ইউরিয়া ৯ কেজি, এনপিকে ২৬ কেজি (১০:২৬:২৬)
চাপান সার — (বীজ বােনার ২১ দিন পর এবং প্রতিবার শাক কাটার পর একই পরিমাণ সার) ইউরিয়া —৭.৫ কেজি, মিউরেট অব পটাশ—৫.৫ কেজি।
গাছের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি:
জমিতে শাক ঢেকে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আগাছা মুক্ত রাখা দরকার। সবসময় জমিতে রসের জোগান দিতে হয়।
ফসল তােলার পদ্ধতি ও ফলন :
বীজ বােনার দেড়মাস পর থেকে শাক তােলা যায়। বিঘা প্রতি ২০-৪০ কুইন্টাল (নির্ভর করে প্রতিদিন ফসল মাঠে রাখা হবে) ফলন পাওয়া যায়।
আমাদের এই website-এ প্রবেশ করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধ্যন্যবাদ।আমরা এই ওয়েবসাইট -এর মাধ্যমে সমস্ত শাক-সবজি, ফসল চাষ এবং চাষবাস এর সবরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পোস্ট করে থাকি। আমাদের এই পোষ্টটি ভালোলাগলে আমাদের ওয়েবসাইট (চাষবাস-বারোমাস)-টিকে Follow করতে পারেন।পারলে আপনারা LIKE ও SHARE করবেন। আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধ্যন্যবাদ।
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....