আধুনিক পদ্ধতিতে ওল গাছ চাষ করুন ।Elephant foot Farming :
ওলের বিজ্ঞানসম্মত নাম - Amosphophallus paeonifolius
Syn : Amosphophallus Compamlatus Blume
ওল চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ওল টুকরাে টুকরাে করে কেটে ঘিয়ে ভেজে খেলে অর্শ সেরে যায়। অর্শ না সারা পর্যন্ত এটি খেয়ে যেতে হয়। অবশ্য ওল ভাতে বা সেদ্ধ করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। ওল রান্নার সবজি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বাজারে ওলের চাহিদা রয়েছে। তাই এই সবজি চাষ করা লাভজনক। চাষে লাভ করতে হলে চাষ সম্পর্কে ভালোকরে জানুন। আমি এখানে ওলের চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
![]() |
চাষবাস বারোমাস। Bengali Agriculture |
সূর্যের আলাে পায়, জমি উঁচু হবে, জল দাঁড়াবে না এমন বেলে দোঁয়াশ, এঁটেল দোঁয়াশ মাটি, যেখানে প্রচুর জল ধারণের ক্ষমতা আছে, তবে জল নিকাশনেরও ভাল ব্যবস্থা থাকতে হবে, এমন জমিই ওল চাষের পক্ষে উপযােগী। ছায়াঘন স্যাতসেতে জমিতে ওল ভাল হয় না।
কন্দ বােনার সময় :
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসেই ওলের বীজ বােনা হয়। তবে সেচের ব্যবস্থা থাকলে ফাল্গুন -চৈত্র মাসেও বােনা যায়।
বীজের পরিমাণ :
প্রতি বিঘা জমিতে ২৬০০ - ৩০০০ টি ওল বীজের প্রয়ােজন হয়।প্রতি বীজখণ্ড বা গােটা ৫০০ গ্রামের ওজন হওয়া দরকার। ৫০০ গ্রামের কম ওজনের ওল বুনলে ফলন ভাল হয় না। কভুর জাতের ওল কেটে পোঁতা হয়।ওল কাটার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন প্রতিটি টুকরাের মাথায় হুকের (অঙ্কুর) অংশ থাকে।অন্য সব জাতের মুখী এক বছর চাষ করে যে ছোট ওল পাওয়া যায় তাই লাগানো হয়।
ওলের বিভিন্ন জাত :
গজেন্দ্র (কাভুর), সাঁতরাগাছি, মাদ্রাজী,ধরমপুরী।
বীজশােধন পদ্ধতি:
প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম কার্বেনডাজিম বা ৫ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি মিশিয়ে ওলের টুকরােকে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে নেবেন।
কন্দ কত দূরে বসাবেন?
৩ ফুট x ৩ ফুট। প্রতিটি মাদার সাইজ ১.৫ ফুট x ১.৫ ফুট হওয়া উচিত।কেটে পুঁতলে ৬০ x ৪৫ সেমি। আর গোটা পুঁতলে ৬০ x ৬০ সেমি দূরত্বে বসবেন।
জমি তৈরির পদ্ধতি :
ওলের জন্য জমি ১৫ - ২০ সেন্টিমিটার গভীর করে চাষ বা কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
সার প্রয়ােগ পদ্ধতি:
মাটি তৈরির সময় বিঘা (৩৩ শতক) প্রতি ২৫-৩০ কুইন্টাল জঞ্জাল সার বা কমপক্ষে ৫০ কেজি খােল দিয়ে ৩-৪টি চাষ দেওয়া হয়।
জমি তৈরির সময় রাসায়নিক সার সার বিঘা প্রতি দিন নীচের যে কোন একটি সেটের মতাে।
সেট-১ ইউরিয়া ২৯,৫ কেজি, সি-সুফসফেট ৮৩,৫ কেজি,এবং মিউ, পটাশ ২২ কেজি।
সেট-২ ইউরিয়া ২৭ কেজি, ডি এ.পি, ২৯.৫ কেজি এবং মিউ, পটাশ ২২ কেজি।
সেট-৩ ইউরিয়া ১৮ কেজি, এনপিকে ৫১.৫ কেজি
(১০:২৬:২৬)
চাপান সার-
কন্দ লাগানাের ৩০ দিন পর ইউরিয়া-২২.৫ কেজি। ৬০ দিন পর মিউরেট অব পটাশ–১১ কেজি এবং ইউরিয়া-২২.৫ কেজি দেবেন ।
ওই একই পরিমাণ সার মাদায় দিলে, মাদা প্রতি সারের মাত্রা নিম্নরূপঃ
ধানের ভুষি ৩ কেজি, ইউরিয়া ২০ গ্রাম।সিঙ্গল সুপার ফসফেট ৫০ গ্রাম।মিউরেট অব পটাশ ১৫ গ্রাম।গর্তে সার দিয়ে মাটির সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। চাপান দিয়ে গাছের গােড়ায় মাটি ধরিয়ে দিতে হবে।
পরিচর্যা কিভাবে করবেন ?
ওল গাছ বৃষ্টির জল একেবারে সহ্য করতে পারে না। তাই গাছের গােড়ায় বৃষ্টির জল যাতে না জমে থাকে সেজন্য বর্ষার আগেই গাছের গােড়ায় মাটি তুলে দুই সারির মধ্যে নালা তৈরী করে দিতে হবে। জমি থেকে সব আগাছা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। আগের অনাবৃষ্টিতে এবং ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বােনা হলে এক মাস অন্তর সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
আমাদের এই website-এ প্রবেশ করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধ্যন্যবাদ।আমরা এই ওয়েবসাইট -এর মাধ্যমে সমস্ত শাক-সবজি, ফসল চাষবাস এর সবরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পোস্ট করে থাকি। আমাদের এই পোষ্টটি ভালোলাগলে আমাদের ওয়েবসাইট (চাষবাস-বারোমাস)-টিকে
Follow করতে পারেন।পারলে আপনারা LIKE ও SHARE করবেন। আপনাদের কোনো প্রশ্ন
থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ধ্যন্যবাদ।
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....