Type Here to Get Search Results !

শ্রী (SRI) পদ্ধতিতে ধান চাষের বিভিন্ন ধাপ । Paddy farming.

➤ শ্রী  (SRI) পদ্ধতিতে ধান চাষের বিভিন্ন ধাপঃ  


জমি নির্বাচন :- 
 
উঁচু ও মাঝারি অবস্থানের বেলে দো-আঁশ, দো-আঁশ, এটেল দো-আঁশ, এটেল সব জমিতেই শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষ করা যাবে। তবে এটেল দো-আঁশ মাটিতে সব চাইতে ভাল ফলন পাওয়া যায়। সব ক্ষেত্রেই জল নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমন মরশুমে নিচু জমিতে যেহেতু জল দাঁড়িয়ে যায় এবং জল নিষ্কাশন অসুবিধা জনক তাই “শ্রী” পদ্ধতিতে ধান চাষ করা যাবে না। এছাড়া অধিক  নােনাযুক্ত জমিতেও এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করা যাবে না।


শ্রী  (SRI) পদ্ধতিতে ধান চাষের বিভিন্ন ধাপ । Paddy farming.


বীজের হার—
বিঘা প্রতি ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি সংশোধিত বীজ।
 
বীজ বাছাই :- 
 
একটি পাত্রে ১০ লিটার জলে ১.৬৫০ কেজি খাবার লবণ মিশিয়ে যে দ্রবণ তৈরী হবে তাতে বীজ ধান ডুবিয়ে দিতে হবে। ভেসে থাকা ধান তুলে ফেলে দিতে হবে। পাত্রের নিচে জমে থাকা বীজধান সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিয়ে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ছায়ায় শুকিয়ে নিতে হবে। বীজ বাছাইয়ের কাজ অন্য একটি সহজ পদ্ধতিতেও করা যায়। এক্ষেত্রে লবণের পরিমাণ ঠিক না করে জলে একটি মুরগীর ডিম ছেড়ে দিয়ে ধীরে ধীরে লবণ মেশালে এক সময় দেখা যাবে ডিমটি ভেসে উঠেছে। জলের উপরি ভাগে ডিমটি থাকা অবস্থায় যদি দেখা যায় সামান্য অংশ জলের উপরে জেগে আছে তখন বীজ ধান ছেড়ে দিতে হবে এবং একইভাবে অপুষ্ট বীজ ধান ভেসে উঠবে এবং সেগুলি সরিয়ে দিতে হবে। পাত্রের নিচের পুষ্ট বীজ ধান এবার তুলে নিয়ে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ছায়ায় শুকিয়ে নিতে হবে। ১০ লিটার জলে কয়েকবারে অন্ততঃ ৩০ কেজি বীজ এই পদ্ধতিতে বাছাই করা যায়।
 
বীজ শােধন :- 
 
বীজ ধান দু-ভাবে শােধন করা যায়। জৈবিক পদ্ধতিতে এবং রাসায়নিক পদ্ধতিতে। জৈবিক পদ্ধতিতে বীজ শােধন করতে হলে প্রতি কেজি বীজ শােধন করার জন্য ৪-৫ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি প্রয়ােজন হবে। অপর দিকে রাসায়নিক পদ্ধতিতেশুকনাে বীজ শােধন করতে হলে বীজ ধানের জন্য ২-২.৫ গ্রাম কারবেন্ডাজিম (ব্যাভিস্টিন, ডেরােসাল প্রভৃতি) বা থাইরাম ব্যবহার করতে হবে। অপর দিকে ভিজে বীজ শােধন করতে ৩ গ্রাম করবেন্ডাজিম প্রতি ১.৫ লিটার জলে গুলে নিয়ে ১ কেজি বীজ ধান ৮-১০ ঘন্টা ভেজাতে হবে। শােধনের পর বীজগুলি পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিয়েতবেই কোলা করার জন্য জাক দিতে হবে।
 
বীজতলায় বীজ বােনার সময় :- 
 
খরিফ মরসুমে জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে এবং বােরাে মরসুমে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে জানুয়ারীর দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বীজ বােনার উপযুক্ত সময়। তবে বােরাে মরসুমে যখন তাপমাত্রা ১০° সেন্টিগ্রেডের নীচে থাকবে তখন বীজ বােনাই ভাল। খরিফ এবং বােরাে দুটি মরসুমেই চারা দু-পাতা যুক্ত হলে রােয়া করতে হবে।
___________________________________________________________________________

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.