আধুনিক পদ্ধতিতে মানকচুর চাষ।
মানকচুর বিজ্ঞানসম্মত নাম - Aloscasia indica
মানকচু রান্না ঘরের সবজি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মানকচু মৃদু বিবেচক অর্থাৎ অল্প মাত্রায় মলকারক,মূত্র বৃদ্ধি করে , শোথ রোগ সারিয়ে তোলে, শরীরে ঠান্ডা প্রভাব সৃষ্টি করে। এক কথায় মানকচু একদিকে সবজি ও অন্য দিকে ভেষজ উদ্ভিদ হিসাবে বিস্তার লাভ করেছে। তাই মানকচুর চাষ লাভজনক।
মানকচুর বীজ বপন পদ্ধতি :
এপ্রিল-মে মাসে চারা, মুখী বা কন্দমূলের উপরের অংশ মাটিতে পুঁততে হয়। চোখসহ মানকন্দও মাটিতে পুঁততে হয়। ১ মিটার দূরত্বে সারিতে চারা, কন্দ বা বীজ পুঁততে হয়।
![]() |
চাষবাস বারোমাস। Bengali Agriculture |
প্রয়োজনীয় মাটি:
উর্বর দোঁয়াশ মাটিতে মানকচুর চাষ সবচেয়ে ভাল হয়। উঁচু , মাঝারী উঁচু , রােদের মুখ দেখে এমন জমির প্রয়োজন।নিচু ছায়াঘন জমিতে মানকচু চাষ করলে স্বাদ বিকৃত ধরনের হয়, ছিবড়া হয় বলে সিদ্ধ হয় না এবং গলা চুলকায়।
জমি তৈরী ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি :
জমিতে ৪-৫ বার গভীর করে লাঙল ও মই দিয়ে প্রতি একরে ১৪-১৫ গাড়ি গােবর বা আবর্জনা সার ও ১ গাড়ি কাঠের ছাই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। জমিতে পটাসের পরিমাণ বেশি হওয়া দরকার। এছাড়াও প্রতি একরে ৫০কেজি ইউরিয়া ৪০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট এবং ৮০ কেজি মিউরেট অব পটাস জমি তৈরীর সময় মিশিয়ে দিতে হবে।
পরিচর্যা কিভাবে করবেন ?
গাছ খুব তেজী হলে কন্দ বাড়ে না। তাই কন্দের কিছু শিকড় এবং ২-১টি পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে। ২-৩ বছর পর ফসল তােলা উচিত।কচুক্ষেতে সজারুর উপদ্রব খুব হয়। সেটা বন্ধকরার জাল বা ফাঁদ পাতা উচিত।
ফলন : প্রতি একরে ১০ কুইন্টাল ফলন হয়।
আমাদের এই website-এ প্রবেশ করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধ্যন্যবাদ।আমরা এই ওয়েবসাইট -এর মাধ্যমে সমস্ত শাক-সবজি, ফসল চাষ এবং চাষবাস এর সবরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পোস্ট করে থাকি। আমাদের এই পোষ্টটি ভালোলাগলে আমাদের ওয়েবসাইট (চাষবাস-বারোমাস)-টিকে Follow করতে পারেন।পারলে আপনারা LIKE ও SHARE করবেন। আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধ্যন্যবাদ।
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....