Type Here to Get Search Results !

শ্রী পদ্ধতিতে ধানচাষে সারের ব্যবহার ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। Paddy farming.

➤ শ্রী পদ্ধতিতে ধানচাষে সারের ব্যবহার ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। 

খরিফ ও বোরো মরসুমে ধান চাষে মূল জমি তৈরি, সার প্রয়োগ ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করবেন তা আলোচনা করলাম।



ধানচাষে সার প্রয়োগ পদ্ধতি :- 

⏪ সার প্রয়ােগের সময়।
 
প্রাথমিক সার :  (ক) জৈব সার - বিঘা  প্রতি  খরিফ মরসুমে  ১,০০০-১,৫০০ কেজি,কমপক্ষে ৭০০ কেজি।
বােরাে মরসুমে সারপ্রয়ােগের মাত্রা একই।
মন্তব্য :- জৈবসার জমি তৈরীর ৩-৪ সপ্তাহ পূর্বে প্রয়ােগ করতে হবে।

 (খ) রাসায়নিক সার -  বিঘা  প্রতি  খরিফ মরসুমে  নাইট্রোজেন ১.৫ কেজি  অর্থাৎ ৩ কেজি ৩০০  গ্রাম ইউরিয়া; নাইট্রোজেন - ফসফেট  ৩ কেজি অর্থাৎ ১৯  কেজি, সি:সু:ফসফেট এবং  ২ কেজি ২৫০ গ্রাম পটাশ অর্থাৎ ৩ কেজি ৭৫০ গ্রাম মি:অ:পটাশ।

বােরাে মরসুমে বিঘা  প্রতি  নাইট্রোজেন -৩ কেজি ৩০০ গ্রাম অর্থাৎ ৭ কেজি ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া;  ফসফেট ৬ কেজি ৬৬০ গ্রাম অর্থাৎ ৪২ কেজি সি:সু: ফসফেট এবং ৫ কেজি পটাশ অর্থাৎ ৮ কেজি৩০০ গ্রাম মি:অ:পটাশ।
মন্তব্য :- উল্লেখিত ফসফেট ও পটাশ ঘটিত সার দ্বিতীয় চাষের সময় এবং নাইট্রোজেনঘটিত সার শেষ চাষের আগে প্রয়ােগ করতে হবে।


⏫ চাপান সার :-
 
১ম চাপান :  রােয়ার ১২-১৫ দিন পরে  বিঘা  প্রতি খরিফ মরসুমে  ১.৫ কেজি নাইট্রোজেন অর্থাৎ ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়ােগ করে ঘেটে দিতে হবে বা কোনাে প্যাডি উইডার চালাতে হবে।
বােরাে মরসুমে  রােয়ার ১৫-২০ দিন পরে  বিঘা  প্রতি ৩ কেজি ৩৩০ গ্রাম নাইট্রোজেন অর্থাৎ ৭ কেজি ৫০০ গ্রাম  ইউরিয়া প্রয়ােগ করে। জমি ঘেঁটে দিতে হবে বা কোনাে প্যাডি উইডার চালাতে হবে।
মন্তব্য :-  জমিতে যেন জল দাঁড়িয়ে না থাকে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
 
⏫ ২য় চাপান সার :- 
 
রােয়ার ২০-২৫ দিন পরে বিঘা  প্রতি খরিফ মরসুমে প্রথম চাপানের মত একই  মাত্রায় সার একই ভাবে প্রয়ােগ করতে হবে।
বোরো মরসুমে রােয়ার ৩০-৩৫ দিন পরে প্রথম চাপানের মত একই মাত্রায় সার একই ভাবে প্রয়ােগ করতে হবে।

মন্তব্য :- সার প্রয়ােগের পরে জমি ঘেঁটে দিতে হবে অথবা কোনাে প্যাডি উইডার চালাতে হবে।

⏬ ৩য় চাপান সার : 
 
 রােয়ার ৩৫-৪০ দিন পরে বা কাচথােড়ের সময় খরিফ মরসুমে  বিঘা  প্রতি  ১.৫ কেজি নাইট্রোজেন অর্থাৎ ৩ কেজি ৩০০গ্রাম ইউরিয়া এবং এর সাথে ৭৫০ গ্রাম পটাশ অর্থাৎ ১ কেজি ২৫০ গ্রাম মি:অ: পটাশ প্রয়ােগ করতে হবে।

বোরো  মরসুমে রােয়ার ৪৫-৫৫ দিন  পরে বা কাচথােড়ের সময় বিঘা  প্রতি ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম নাইট্রোজেন অর্থাৎ ৭ কেজি ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং এর সাথে ১ কেজি ৬৬০ গ্রাম পটাশ অর্থাৎ ২ কেজি ৭৫০ গ্রাম মি: অ:পটাশ প্রয়ােগ করতে হবে।

মন্তব্য :- এই সময় জমিতে কোনাে প্যাডি উইডার সাবধানে চালাতে হবে। কাঁচাথোড় এসে গেলে উইডার না চালানােই ভালাে।

বি.দ্র, -১ বিঘা = ৩৩ শতক।




➤ আগাছা নিয়ন্ত্রন :- 

এই পদ্ধতিতে ধানক্ষেতে যেহেতু জল ধরে রাখা হয় না তাই আগাছার সমস্যা বেশী হয়। এজন্য রােয়ার ১০-১২ দিন পর থেকে ৩-৪ বার আগাছার সমস্যা দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে ধানক্ষেত থেকে আগাছা তুলে নিয়ে অন্যত্র অথবা সারের গর্তে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে সাধারণতঃ চক্রযুক্ত প্যাডি উইডার বা কোনাে প্যাডি উইডার ধানের দুটি লাইনের মাঝবরাবর টেনে নিয়ে আগাছা মাটিতে মিশিয়ে দিতে হয়, এর ফলে জমিতে অক্সিজেনের সরবরাহ যেমন বাড়ে একই সঙ্গে আগাছার সমস্যা থাকে না। এছাড়া এই পদ্ধতিতে আগাছা যেহেতু মাটির সঙ্গেই মিশিয়ে দেওয়া হয় তাই মাটিতে প্রতি বারে একর প্রতি ৪ কুইন্টাল পর্যন্ত জৈব পদার্থ যুক্ত হয়, যা পরবর্তীকালে উপকারী জীবাণুদের প্রয়ােজনীয় খাদ্য যেমন সরবরাহ করে পাশাপাশি পরবর্তীকালে গাছের প্রয়ােজনীয় খাদ্য উপাদানের একাংশ যােগান দেয়। কোনাে প্যাডি উইডার ব্যবহার করলে আগাছা নিড়ানাের খরচও অনেকটাই (৫০-৬০ শতাংশ) কম হয়।

আমাদের এই website-এ প্রবেশ করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আমরা এই ওয়েবসাইট -এর মাধ্যমে সমস্ত শাক-সবজি, ফসল চাষ এবং চাষবাস এর সবরকম বিষয় নিয়ে আলোচনা ও পোস্ট করে থাকি। আমাদের এই পোষ্টটি ভালোলাগলে আমাদের ওয়েবসাইট (চাষবাস-বারোমাস)-টিকে Follow করতে পারেন।পারলে আপনারা LIKE ও SHARE করবেন। আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধ্যন্যবাদ।

 
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.